আন্তর্জাতিক

হামাসের অর্থের উৎস কী?

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামলার শুরুতেই কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছিল তারা। এখনো ইসরায়েলে নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। চতুর্দিক থেকে সর্বাত্মক অবরোধ দিয়েও দমানো যায়নি তাদের।

Advertisement

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হামাস যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলের মতো তাদেরও বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই অর্থের উৎস কোথায়? কোথা থেকে বিপুল এই অর্থ পাচ্ছে গোষ্ঠীটি?

বিবিসির খবর অনুসারে, শুরুর দিকে প্রবাসী ফিলিস্তিনি এবং ব্যক্তিগত দাতা, যারা মূলত আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দা, তারাই হামাসকে অর্থ সাহায্য করতেন। কিছু ইসলামী দাতব্য গোষ্ঠীও আর্থিক সাহায্য করতো।

তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্যরা হামাসকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা করার পরে এভাবে আর্থিক সাহায্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।

Advertisement

এখন ইরানের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য ও অন্যান্য সামগ্রী পেয়ে থাকে হামাস।

এছাড়া, গাজায় সাম্প্রতিক চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের সময় সাহায্য করেছে কাতার। তারা আগেও ফিলিস্তিনিদের অর্থ সহায়তা দিয়েছিল। ওই অর্থ মূলত খরচ করা হয়েছিল ফিলিস্তিনের কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারীর বেতন দিতে।

আবার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাসের একটি গোপন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে, যা কয়েকশ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ তৈরি করে।

সুদান, আলজেরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত সংস্থাগুলো ওই সম্পদ ব্যবহার করে হামাসকে অর্থ জুগিয়ে থাকে।

Advertisement

কেএএ/