অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের নাসার হাসপাতাল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরের একটি তিন তলা ভবনে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বড় ধরনের বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
ওই হামলায় অন্তত ৫০ জন হতাহত হয়েছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে গেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস সংঘাত/দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিতে
খান ইউনিস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত এবং উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলেই সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এই স্থান নিরাপদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান হামলার এক তৃতীয়াংশ এই অঞ্চলকে লক্ষ্য করেই চালানো হচ্ছে।
Advertisement
এছাড়া যারা নিহত হয়েছে তাদের অন্তত অর্ধেকই এই কথিত ‘নিরাপদ এলাকায়’ ছিল। হতাহতদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালগুলো। জরুরি নয় এমন বিভাগ যেমন কিডনি ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যেন জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনা যায়।
ওই এলাকায় কবে নাগাদ জ্বালানি সরবরাহ করা হবে সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। জাতিসংঘ বলছে, আমাদের ৪০ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার। সেখানে এ পর্যন্ত আমরা মাত্র ৫০টির মতো পেয়েছি।
গাজার এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালই বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, গাজা উপত্যকায় তাদের জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে আসছে। ইতোমধ্যেই হাসপাতালগুলোতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, তারা শুধু গুরুতর রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গাজার এক তৃতীয়াংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে
Advertisement
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ ওই অঞ্চলকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেনারেটরই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু জ্বালানির অভাবে সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
টিটিএন