আন্তর্জাতিক

গাজার এক তৃতীয়াংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে

গাজার এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালই বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, গাজা উপত্যকায় তাদের জ্বালানি সরবরাহ আজ রাত পর্যন্ত চলবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ইতোমধ্যেই হাসপাতালগুলোতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, তারা শুধু গুরুতর রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

Advertisement

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার এক তৃতীয়াংশ হাসপাতাল এবং প্রায় দুই তৃতীয়াংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলের ক্রমাগত বিমান হামলা এবং জ্বালানির অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে জেনারেটর চলবে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ ওই অঞ্চলকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেনারেটরই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু জ্বালানির অভাবে সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

যতই দিন যাচ্ছে গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। একদিন আগেই গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে যে, সেখানকার হাসপাতালগুলোর ইলেক্ট্রিক জেনারেট আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা চালু থাকতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করা না গেলে জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যাবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরো মঙ্গলবার সকালে টেলিগ্রামে এক ‍বিবৃতিতে বলেন, গাজায় খুবই ধীর গতিতে মানবিক সহায়তা আসছে এবং এটা প্রকৃত অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু

Advertisement

গাজায় ইতোমধ্যেই কয়েক দফায় ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও কোনো ধরনের জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। কিন্তু হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম চালু রাখার জন্য অবশ্যই জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দিকে জোর দেওয়া উচিত এবং এগুলো যত দ্রুত সম্ভব সরবরাহের অনুমতি দিতে হবে।

টিটিএন