বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। এ যেন হেমন্তের বাতাসে আমন ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকদের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা এবং আধাপাকা শীষ। কয়েক দিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। আবার কিছু ধান পাকতেও শুরু করেছে। এ যেন রোপা আমন ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
Advertisement
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় আবাদ করা জমি ধানের শীষে ভরে গেছে। আবার কিছু ধানে শীষ আসতে শুরু করেছে। আগাম জাতের কিছু ধান পাকতেও শুরু করেছে। ধানের শীষ দেখে আনন্দে ভরে উঠছে কৃষকের মন। সোনালি ধানের শীষে ঝলমল করছে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখেমুখে ফুটে উঠছে আনন্দের ছোঁয়া।
আরও পড়ুন: আউশের মৌসুমে বোরো ধান চাষ
রাশি রাশি সোনালি ধানে ভরে উঠবে কৃষাণির শূন্য গোলা। ফলে মাঠে দোল খাওয়া ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। তবে অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে আমন চাষের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
Advertisement
উপজেলার বিজয় ঘাট গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম, ফোকপাল গ্রামের ইব্রাহিম আলী জানান, এ বছরও ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিগত বছরের তুলনায় ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ধানের নতুন রোগ বিপিবি প্রতিরোধে করণীয়
কৃষক রাজু আহমেদ বলেন, ‘ধান ক্ষেতে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানগাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবারে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। আগামী সপ্তাহ থেকে কিছু মাঠে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হবে। তবে সরকার যদি ন্যায্য দাম দেয়, তাহলে লাভবান হবেন কৃষক। তখন পূরণ হবে আমাদের স্বপ্ন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক বলেন, ‘রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। এবার উপজেলায় ১৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।’
Advertisement
এসইউ/এএসএম