রংপুরের বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, চাল, ডাল, চিনি ও পোলট্রি মুরগির দাম। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বাড়ায় কমছে না সবজির দাম।
Advertisement
রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া কার্ডিনাল আলু ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা, সাদা দেশি আলু ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, শিল আলু ৭০-৭৫ টাকা এবং ঝাউ আলু আগের মতোই ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
আরও পড়ুন: খুলনায় সবজির বাজারে স্বস্তি, দাম কমেনি মাছের
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৯-৫০ টাকা, দেশি আদা (নতুন) ২৩০-২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো আগের মতোই ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৫৫-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪৫-৫০ টাকা, ধনেপাতার দাম বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালির দাম বেড়ে ৩০-৪০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, দুধকুষি ৬৫-৭০ টাকা, পটল ৬৫-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬৫-৭০ টাকা, কাঁকরোল বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৬৫-৭০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ১১০-১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়। মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সবজি উৎপাদন করতে যেসব জিনিসের প্রয়োজন হয় তার দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে পরিবহন খরচ। এসব কারণে সবজি আমদানি করা না হলেও দাম কমছে না। শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। ফলে দাম কমছে না।
Advertisement
আরও পড়ুন: রংপুরে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম, কমেনি সবজির
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস আগের মতোই ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে সবজির দাম
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/জেএস/এএসএম