বাবা-মায়ের আর্তচিৎকার, স্ত্রী-সন্তান-স্বজনদের আহাজারি। কখন আসবে মোস্তফা কামালের (৩২) মরদেহ। এই অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না। অবশেষে সৌদি আরব প্রবাসী মোস্তফার মরদেহ দেশে এলো ১৩ দিন পর।
Advertisement
আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় মরদেহ। এরপর স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে বিকেলে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।
মোস্তফা কামালের বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল আবেদীন। মোস্তফার স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান আছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে প্রায় দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিলেন মোস্তফা। এরইমধ্যে গত ১০ অক্টোবর সেখানে স্ট্রোকে মৃত্যু হয় তার। কিন্তু বাড়িতে খবর আসে মৃত্যুর তিনদিন পর ১৩ অক্টোবর।
Advertisement
পরে সেখানকার আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার মোস্তফার মরদেহ দেশের মাটিতে পৌঁছায়। এরপর বিকেলে নিজ গ্রামের বাড়ি এলাকার ফুলপুর মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, মোস্তফার মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছালে পুরো গ্রামজুড়ে শোকের ছাড়া ছড়িয়ে পড়ে। একনজর দেখার জন্য অনেক লোকজন ছুটে আসেন তার বাড়িতে। বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনদের বুকফাটা চিৎকারে বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠে।
প্রবাসী মোস্তফার চাচা মমিন মিয়া বলেন, হঠাৎ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় মোস্তফার। পরে সৌদি আরবের আরেক প্রবাসী আত্মীয়র মাধ্যমে খোঁজ নিলে খবর মেলে মোস্তফা স্ট্রোক করে মারা গেছে। তাও তিনদিন পরে এই খবর পাই। পরে নানা জটিলতা পেরিয়ে সেখান থেকে আজ তার মরদেহ বাড়ি আনা হয়। পরে বিকেলে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোকন মিয়া বলেন, এক বছর আগেও এক ছেলে মারা গেছে। এখন আরেক ছেলেও মারা গেল। বাবা-মায়ের জন্য এই শোক সইতে পারা অনেক কষ্টের। এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এইচ এম কামাল/এমআরআর
Advertisement