জাতীয়

গতিপথ ঘুরে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর গতিপথ পূর্বদিকে ঘুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দিকে যাওয়ায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ঝুঁকি কমে গেছে। তাই ওই সব অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হয়নি। যদিও রাত ৮টার মধ্যে ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছি।

Advertisement

তবে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত সবমিলিয়ে সাড়ে ১২ হাজারের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় উপকূলীয় ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।

পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

Advertisement

মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী আমরা ১১টি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টি এখন পূর্বদিক দিয়ে ঘুরে যাওয়ায় নয়টি জেলা ঝুঁকিমুক্ত হয়ে গেছে। মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মনপুরা, হাতিয়া দ্বীপগুলোর কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সন্দ্বীপে ৬ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে ৫ হাজারের মতো নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।’

‘যেহেতু ঘূর্ণিঝড়টি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো থেকে সরে আসছে, তাই আমরা ওইদিকের আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে মানুষকে না আনার জন্য বলেছি।’

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র কক্সবাজারের ওপর দিয়ে যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হামুনের অগ্রভাগ এরই মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল স্পর্শ করেছে। কেন্দ্র থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আগামী তিন ঘণ্টা বা রাত ১০টার মধ্যে কেন্দ্রটা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’

Advertisement

আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় হামুন শেষরাত থেকে বুধবার সকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আরএমএম/এমএএইচ/এএসএম