বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৩ হাজার ৩৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৬ হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় লোকজনের আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: হামুন’র প্রভাবে সেন্টমার্টিনে ভারী বৃষ্টি, বেড়েছে সমুদ্রের পানি
সভায় বলা হয়, বিভাগের ৩ হাজার ৩৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৬১০ জন মানুষ এবং এক লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি বিভাগে ৫২টি মুজিব কেল্লাও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। সভায় আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কবলিতদের জন্য এক হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২৪ লাখ তিন হাজার টাকা, ৯৬ বান্ডিল টিন ও দুই হাজার পিস কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছে; যা দিয়ে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা যাবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ঝুঁকি বেড়েছে চট্টগ্রামে, কমেছে বরিশাল-খুলনায়
সভার সভাপতি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) স্বেচ্ছাসেবকরা সকাল থেকে কাজ করছেন। দুর্গম ও চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলে থাকা মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছেন।
তিনি আরও বলেন, এ দুর্যোগে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সদস্যরা বরিশাল বিভাগে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরাও প্রস্তুত থাকবেন।
শাওন খান/এমআরআর/এএসএম
Advertisement