জাতীয়

ঝুঁকি বেড়েছে চট্টগ্রামে, কমেছে বরিশাল-খুলনায়

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আরও পূর্ব দিকে সরে গেছে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেড়েছে। তবে, কমেছে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ঝুঁকি।

Advertisement

‘হামুন’ এখন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি রাত ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। এটি রাত ৩টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘হামুন’ এখন ঘণ্টায় ২৩ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। এটি আরও পূর্ব দিকে এগিয়ে রাত ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। রাত ৩টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

আগে ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ। কিন্তু এখন পূর্বদিক দিয়ে ঘুরে যাওয়ায় হামুনের মূল অংশ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এতে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ঝুঁকি কমে গেছে।

Advertisement

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চাল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আরএমএম/এমএএইচ/এএসএম

Advertisement