জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে রেড অ্যালার্ট-৩, সব কার্যক্রম বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে রেড অ্যালার্ট-থ্রি জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে বন্দরের জেটিতে কনটেইনার ও পণ্য খালাসে থাকা জাহাজগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বহির্নোঙরে। খালি করা হয়েছে সবগুলো জেটি। বন্ধ রয়েছে বন্দরের সব ধরনের অপারেশন।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে জরুরি সভা করে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে অ্যালার্ট-থ্রি। জেনারেল কার্গো বার্থ, এনসিটি, সিসিটিতে সবগুলো জাহাজকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের অপারেশন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বহির্নোঙরে পণ্য খালাসও বন্ধ রয়েছে।

বন্দর সচিব বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে জাহাজ, হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট, আমদানি-রপ্তানি পণ্য যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অপারেশনাল ইক্যুপমেন্টগুলোর মধ্যে কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ (আরটিজি) কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলো প্যাকিং করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষরাত থেকে সকাল (২৫ অক্টোবর) নাগাদ মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (৮৯. মি.মিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুটের অধিক উচ্চতায় তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Advertisement

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জেআইএম