রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেন এমন খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ কাজলা গেটে তালা দিয়েছেন পদবঞ্চিতরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে এবং পরবর্তীতে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ পদবঞ্চিতরা। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
আন্দোলনরত পদবঞ্চিতদের দাবি, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে চান। তাদের উদ্দেশ্য ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা। এজন্য তারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
এর আগে, ছাত্রলীগের এই একাংশই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, বিতর্কিত কমিটির নেতাদের তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না।
আন্দোলনরত পদবঞ্চিতদের নেতা রাবি ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি শাহিনুর ইসলাম সরকার ডন বলেন, গালিব ও বাবু বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করা। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেব না। এজন্যই আমরা গেটে তালা ঝুলিয়েছি।
এ বিষয়ে সদ্যঘোষিত কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আমাদের অভিভাবক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন যে নির্দেশনা দেবেন আমরা সে অনুযায়ী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবো। আমরা এখনো তার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু, সম্পাদক গালিব
Advertisement
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আন্দোলনরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে আমাদের অনুরোধ জানায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ও মেইন গেটে তালা দেয়। খবর পেয়ে আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। গেট খুলে দিতে তাদের অনুরোধ করলে তারা তালার চাবি পাঠায়। এর পরপরই আমরা গেটগুলোর তালা খুলে দিয়েছি। এছাড়া আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
গত ২১ অক্টোবর রাতে মোস্তাফিজ বাবু ও আসাদুল্লাহ-হিল গালিবকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট রাবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার পর থেকে ছাত্রলীগের একাংশ নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। গত দুদিনেও ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মনির হোসেন মাহিন/এমআরআর/জেআইএম