আজান নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানানোর ইসলামি পদ্ধতি। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য পাঁচবার মসজিদ থেকে আজান দেওয়া হয়। এ ছাড়া শহরের বাইরে মসজিদ নেই এমন কোনো জায়গায় নামাজ পড়লেও আজান দিতে হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন,
Advertisement
إذا حضرت الصلاة فليؤذِّن لكم أحدُكم وليؤمّكم أكبرُكمযখন নামাজের সময় হয়, তোমাদের কেউ যেন আজান দেয় তোমাদের বয়োজ্যষ্ঠ ব্যক্তি যেন ইমামতি করে। (সুনানে আবু দাউদ)
আজানের সময় রাসুল (সা.) আজানের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজানের পর নবিজির (সা.) জন্য দুরুদ পাঠ ও ওয়াসিলা প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যারা নবিজির (সা.) জন্য ওয়াসিলা প্রার্থনা করবে, কেয়ামতের দিন তারা নবিজির শাফাআত বা সুপারিশ পাবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত রয়েছে নবিজি (সা.) বলেন,
إذا سمعتم المؤذن؛ فقولوا مثل ما يقول، ثم صلوا عليّ فإنه من صلى علي صلاة واحدة؛ صلى الله عليه بها عشرًا، ثم سلوا الله لي الوسيلة، فإنها منزلة في الجنة لا تنبغي إلا لعبد من عباد الله، وأرجو أن أكون أنا هو، ومن سأل الله لي الوسيلة؛ حلت له الشفاعة
Advertisement
যখন তোমরা মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে শুনবে, তখন সে যা বলে, তা বলো। এরপর আমার ওপর সালাত পাঠ করো। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার সালাত পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ১০বার রহম করবেন। এরপর আমার জন্য ওয়াসিলা চাও। ওয়াসিলা জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান। আল্লাহর একজন মাত্র বান্দাই এই মর্যাদা লাভ করবে এবং আমি আশা করি আমিই হব সেই বান্দা। যে ব্যক্তি আমার জন্য ওয়াসিলা প্রার্থনা করবে, সে আমার সুপারিশের হকদার হবে। (সহিহ মুসলিম: ৭৪৮)
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে এই দোয়া পড়বে,
اللَّهُم ربِّ هذه الدَّعْوَة التَّامة، والصَّلاة القَائمة، آتِ مُحَمَّدًا الوَسِيلَةِ وَالفَضِيلة، وابْعَثْه مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذي وعَدْتَه
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ্ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল ক্বায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবাআছহু মাক্বামাম্ মাহমুদানিল্লাজি ওয়া আত্তাহ।
Advertisement
অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও আসন্ন নামাজের তুমি মালিক। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওয়াসিলা ও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাকে সেই প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন যার ওয়াদা আপনি করেছেন।
কেয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ পাওয়ার হকদার হবে। (সহিহ বুখারি)
হাদিসে বর্ণিত এ দোয়াটিতেও নবিজির জন্য ওয়াসিলা বা জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রার্থনা করা হয়েছে। এ দুটি হাদিস থেকে বোঝা যায় আজান শুনে নবিজির জন্য ওয়াসিলা প্রার্থনা করলে বা এই দোয়াটি পড়লে কেয়ামতের দিন নবিজির শাফাআত পাওয়ার আশা করা যেতে পারে।
ওএফএফ/এএসএম