ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পায়রা বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিটিগুলো হলো ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো ও পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ কমিটি, কন্ট্রোল রুম পরিচালনা কমিটি, ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম, মেডিকেল টিম এবং বহিরাগত আশ্রয় প্রার্থীদের আবাসন ব্যবস্থাপনা কমিটি।
আরও পড়ুন: কিছুটা দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘হামুন’
Advertisement
এছাড়া এরইমধ্যে বন্দর চ্যানেল থেকে সব জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব জলযানসহ অন্য যন্ত্রপাতি সর্বোচ্চ নিরাপদ অবস্থানে রাখা হয়েছে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন' আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: ৭ নম্বর সংকেতেও কুয়াকাটায় মাতোয়ারা পর্যটক
এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষ রাত থেকে বুধবার সকাল নাগাদ মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।
Advertisement
আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এএসএম