দেশজুড়ে

নওগাঁয় খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম

সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও শস্যভাণ্ডারখ্যাত উত্তরের জেলা নওগাঁয় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Advertisement

জানা যায়, পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা কাটারিভোগ চাল দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার, জিরাশাইল দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৮০০, ব্রিআর-২৮ ও ২৯ জাতের চাল দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৭০০, স্বর্ণা-৫ দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, খুচরা বাজারে কয়েকদিন আগে প্রতি কেজি কাটারিভোগ ৫৭ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও সোমবার (২৩ অক্টোবর) ৬০ থেকে ৬৫, ৫৫ টাকার জিরাশাইল ৫৮ থেকে ৬২, ৫০ টাকার ব্রিআর-২৮ ও ২৯ জাতের চাল বর্তমানে ৫২ থেকে ৫৫, ৪৭ টাকার স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহরের পার-নওগাঁর দিনমজুর করিম বলেন, ছয়জনের সংসারে একা কাজ করি। মজুরির অর্ধেক শেষ হয়ে যায় চাল কিনতে। বাকি টাকা দিয়ে মাছ-তরকারি প্রয়োজন মতো কিনতে পারি না। এখন তিনবেলা খেতে পারছি। তবে এভাবে দাম বাড়লে পেট ভরে খেতে পারবো না।

Advertisement

শহরের উকিলপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী রাসেল বলেন, সকালে বাজারে এসে দেখি চালের দাম বেড়েছে। কিছু ব্যাবসায়ী ইচ্ছে হলেই দাম বাড়ায়। প্রতিনিয়ত সবকিছুর দাম বাড়লেও বেতন তো বাড়ছে না। বেতন যা পাই তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সুফিয়া অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী শফিকুল আলম বলেন, মিলে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকলেও ক্রেতা কম। শুনেছি খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। পর্যাপ্ত চাল সরবারাহ থাকার পরও কেন দাম বাড়ছে তা জানা নেই।

নওগাঁ মানবাধিকার নাট্যপরিষদের জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বলেন, প্রতিনিয়ত দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষদের না খেয়ে থাকতে হতে পারে।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ রয়েছে। পাইকারিতে বস্তা প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সে কারণে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।

Advertisement

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে আমদানি কমের অজুহাত দেখিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা ধানের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আবার অনেকে চাল গুদামজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

এএইচ/জেআইএম