উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এ উত্তাল ঢেউয়ে কুয়াকাটা আগত পর্যটকরা মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে। তবে সমুদ্রের বেশি গভীরে না যেতে মাইকিং করে সতর্ক করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
Advertisement
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এটি বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।
বর্তমানে অসংখ্য পর্যটক অবস্থান করছেন কুয়াকাটায়। কিন্তু শীতের শুরুর এ রোমাঞ্চকর পরিবেশ উপভোগ করতে এসে অনেকেই পড়েছেন বৈরী আবহাওয়ার কবলে। তবে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অনেক পর্যটকই মেতেছেন উল্লাসে। সতর্ক থেকেই কেউ উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে জলকেলিতে মাতছেন। কেউবা সমুদ্রবাইকে চড়ছেন, কেউ কেউ সৈকতে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বুধবার দুপুর নয়, সকাল নাগাদ আঘাত হানতে পারে ‘হামুন’
Advertisement
মাদারীপুর থেকে আসা লায়লা নামের একজন পর্য টকজাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা গতকাল আসছি। তখন অনেক সুন্দর আবহাওয়া ছিল। আজ সকালবেলা হঠাৎ করে খুব খারাপ অবস্থা হয়েছে। অনেক ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু সৈকতে নেমে আরও উল্লাস বেড়ে গেলো। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। অনেক আনন্দ লাগছে।’
ঢাকা থেকে আসা রাব্বি বলেন, ‘বৃষ্টি হচ্ছে দেখে অনেকটা খারাপ লাগছিল। তবে সমুদ্রে নেমে অনেক ভালো লাগছে। শীত শীত ভাব, সমুদ্রে ঢেউ—অন্যরকম একটা ফিলিংস পেলাম।’
তবে বৈরী আবহাওয়ায় নিরাপত্তা স্বার্থে অনেক ট্যুর বাতিল করা হয়েছে বলে জানান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু।
তিনি বলেন, আপাতত কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে পর্যটকদের নিয়ে কোন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাচ্ছি না।
Advertisement
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু বলেন, সাপ্তাহিক ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে অনেক পর্যটক এসেছেন। তবে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়ায় আমরা তৎপর হচ্ছি।
কলাপাড়া উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কমিটির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, দুযোর্গ মোকাবিলায় আমাদের ১৭০টি সাইক্লোন শেল্টার, ২০টি মুজিব কেল্লা ও তিন হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম