ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে সাত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
Advertisement
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছি। উপজেলার উপকূলীয় ইছাখালী, সাহেরখালী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে শুকনা খাবার, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অতিপ্রবল হলো ‘হামুন’, গতি বাড়িয়ে এগোচ্ছে উপকূলে
সাহেরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
Advertisement
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক টিম ও ছাত্রলীগের কর্মীরা দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
মিরসরাই উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি)টিম লিডার এম সাইফুল্লাহ দিদার বলেন, ১০ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় আমাদের ৮০ টিম মাঠে থাকবে। ৮০ টিমে এক হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিম প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।
এম মাঈন উদ্দিন/এসআর/জিকেএস
Advertisement