আত্মশ্রাদ্ধ করলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি নির্মলেন্দু গুণ। ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন কবি।
Advertisement
কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘৬ কার্তিক আমার জন্মগ্রাম কাশবনে আমার ‘আত্মশ্রাদ্ধ’ সুসম্পন্ন হয়েছে। আমার আত্মশ্রাদ্ধ উপলক্ষে কাশবন, সাধুহাটী ও গোবিন্দপুর গ্রামের প্রায় চার শতাধিক পরিবারকে (হিন্দু-মুসলমান) নগদ ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘তার আগে কাশবন সার্বজনীন শ্মশানে গিয়ে আমি আমার পূর্ব-পুরুষ ও এই শ্মাশানে সৎকারকৃত সবার স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে ও ধূপদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’
আরও পড়ুন: মুঠোফোনের কাব্য: কবিতার ভিন্ন আঙ্গিক
Advertisement
আত্মশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে কাশবন বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ কিশোর সরকার, সহকারী প্রধান শিক্ষক ফকর উদ্দিন, ট্রাইবাল সংঘের সভাপতি সমিরণ সিংহ, ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী (জন্ম ২১ জুন ১৯৪৫), যিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে ব্যাপক পরিচিত একজন বাংলাদেশি কবি। কবিতার পাশাপাশি তিনি গদ্য, ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন ও ছবি এঁকেছেন। তার কবিতায় মূলত নারীপ্রেম, শ্রেণি-সংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধিতা প্রকাশ পেয়েছে।
১৯৭০ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ প্রকাশিত হওয়ার পর কবি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা ‘হুলিয়া’ কবিতাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরে এর ওপর ভিত্তি করে তানভীর মোকাম্মেল একটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুন: কালকিনিতে কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা
Advertisement
এছাড়া তার ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়। তাকে ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০১ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এইচ এম কামাল/এসইউ/জিকেএস