দেশজুড়ে

জেব্রা, কমন ইল্যান্ড ও নীলগাই পরিবারে নতুন অতিথি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বেশ কয়েকটি প্রজাতির পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। কিছুদিন আগে প্রাণীগুলোর জন্ম হলেও শাবকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পার্ক কর্তৃপক্ষ সোমবার (২৩ অক্টোবর) এতথ্য প্রকাশ করে।

Advertisement

জোড়া শাবকের জন্ম দিলো নীলগাই

২০১৯ সালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ হওয়া বেশ কয়েকটি নীলগাই উদ্ধার করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়। সেখান থেকেই এখন জন্ম হচ্ছে নতুন অতিথির। গত ৭ অক্টোবর এ পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি নীলগাই দুটি শাবকের জন্ম দেয়। এরআগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো দুটি শাবকের জন্ম হয়েছিল। নতুন শাবক নিয়ে পার্কের নীলগাই পরিবারের সদস্য সংখ্যা আটটিতে দাঁড়ালো।

কমন ইল্যান্ড পরিবারে নতুন অতিথি

Advertisement

সাফারি পার্কে আফ্রিকান প্রাণী কমন ইল্যান্ড পরিবারেও নতুন শাবকের জন্ম হয়েছে। গত ৯ আগস্ট প্রাণীটির জন্ম হয়। এ প্রাণীর আচরণ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত মা প্রাণীটি শাবককে ঝোপের আড়ালে রাখে নিরাপত্তার জন্য। শাবকটি হাঁটাচলা শেখার পর মায়ের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে।

সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, কমন ইল্যান্ড এন্টিলুপ প্রজাতির আফ্রিকান প্রাণী। আফ্রিকা মহাদেশেই মূলত এদের বিচরণ। একটি প্রাপ্তবয়স্ক মাদি কমন ইল্যান্ডের ওজন ৩০০-৬০০ কেজি। পুরুষের ওজন হয় ৪০০-৯০০ কেজি। এরা মূলত তৃণভোজী।

শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫ সালের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি পুরুষ ও একটি মাদি কমন ইল্যান্ড আনা হয়। পরে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাবকের জন্ম দেয় এ প্রজাতি।

বর্তমানে পার্কে নতুন শাবক নিয়ে কমন ইল্যান্ড পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ালো চারে। যার মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি মাদি।

Advertisement

জেব্রা পরিবারে দুই অতিথি

জেব্রা পরিবারেও এসেছে নতুন দুই অতিথি। এনিয়ে পার্কে জেব্রার সংখ্যা ২৯টিতে দাঁড়ালো। এরমধ্যে ১৬টি পুরুষ ও ১৩টি মাদি।

পার্ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি ও ১৩ সেপ্টেম্বর আরেক শাবকের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শাবকগুলো সুস্থ আছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ও নিয়মিত সঠিক পরিচর্যার কারণে পার্কে প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, আমাদের জেব্রা পরিবারে অতীতে যে ক্ষতি হয়েছিল সে সংখ্যাটা আমরা কাটিয়ে উঠেছি।

সঠিক খাবার ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী নিয়মিত শাবকের জন্ম দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

আমিনুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস