কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতদের জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিতে রাজধানীর চার হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতালগুলো হলো-েঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নিটোর তথা পঙ্গু হাসপাতাল এবং আগারগাঁওয়ের নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট।
Advertisement
আগত রোগীদের জরুরিভাবে সেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে জরুরি এক অনলাইন সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান। পাশাপাশি দুর্ঘটনার পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতাল ও নিকটবর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জরুরিভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে ৭ জন গুরুতর আহত রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৮ জন নিটোর ও ১ জন নরসিংদী ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন ও হাসপাতাল শাখা থেকে মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক সমন্বয় করা হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা মনিটরিং করছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই নিহত এবং আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার (ভৈরব ) নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। যার মধ্যে ছিল প্রায় ১৫ জন চিকিৎসক এবং নার্স, এসএসিমো, স্বাস্থ্য সহকারী, সিএইচসিপি ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী।
সেই সঙ্গে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক রোগীকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়। সেখানে প্রায় ৪০ জন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের সাথে অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী কাজ করছে।
ডা. মঈনুল আহসান জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে অতিরিক্ত ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসাকর্মী পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় ও প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল থেকে আনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
এএএম/এমআইএইচএস