রাজধানীতে জুতা কারখানায় কাজ করে কিশোর সাব্বির হোসেন (১৬)। ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে এগারো সিন্ধুর ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার জন্য চড়েছিল সে। কিন্তু স্টেশন ছাড়ার পরই ট্রেনটি পড়ে দুর্ঘটনায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি।
Advertisement
সাব্বির কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে।
রাতে দুর্ঘটনাস্থলে সাব্বিরের ছবি হাতে নিয়ে তাকে খুঁজে বেড়াতে দেখা যায় মামা জুয়েল মিয়াকে। তিনি বলেন, ‘সাব্বির বিকেলে ফোন দিয়ে শুধু বলেছিল ট্রেন এক্সিডেন্ট হয়েছে। এরপর ফোনের লাইনটি কেটে যায়। তারপর অনেক চেষ্টা করেও তার মোবাইলে কল ঢোকানো যায়নি।’
আরও পড়ুন: ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০
Advertisement
জুয়েল মিয়া আরও বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে গিয়ে খোঁজ করি কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। একটি হাসপাতাল থেকে বলেছিল, এই ছেলেটিকে আহত অবস্থায় দেখেছি কিছুক্ষণ আগে, কিন্তু তারা আমার ভাগনেকে দেখাতে পারেনি।’
এরআগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, এখনো উদ্ধার অভিযান চলমান। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটি সরানোর পর বোঝা যাবে ভেতরে আরও মরদেহ আছে কি না।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর