শিক্ষা

উঠে যাচ্ছে বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ, সবাই পড়বে একই পাঠ্যবই

২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন থাকছে না। চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার মতো আলাদা বিভাগ বেছে নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হচ্ছে। সব শিক্ষার্থী পড়বে একই পাঠ্যবই।

Advertisement

২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যখন দশম শ্রেণিতে উঠবে, তখন সেখানেও বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না। আর ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। সেখানে সবার পরীক্ষার বিষয় ও প্রশ্নপত্র একই থাকবে। মূল্যায়ন করা হবে সূচক বা চিহ্নভিত্তিক।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন না থাকার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে পত্র জারির প্রশাসনিক অনুমোদন নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।

Advertisement

গত মাসে প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক স্মারকের সূত্রে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

জানা গেছে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য ২০১৬ সালে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই বছরের ২৫-২৬ নভেম্বর কমিটির সদস্যরা কক্সবাজারে দুদিনের আবাসিক কর্মশালায় অংশ নেন। এতে শিক্ষাবিদরা বেশ কিছু সুপারিশ প্রস্তাব করেন।

সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। এর একটি শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা সাব-কমিটি। এ কমিটি ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ৮ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করে।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে একটি হলো পাঠ্যবইয়ের কিছু বিষয় বাধ্যতামূলক এবং কিছু বিষয় ঐচ্ছিক রাখা। এছাড়া বর্তমানে চালু থাকা তিন বিভাগের প্রায় সব বিষয় সব শিক্ষার্থীই যেন পড়তে পারে, সেভাবে কারিকুলাম প্রস্তুত করা।

Advertisement

এরই অংশ হিসেবে চলতি বছর (২০২৩) প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২৪ সালে চালু হবে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে চালু হবে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে।

উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে চালুর মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এএএইচ/এমকেআর/এমআইএইচএস/এএসএম