চায়ের দোকানে বসে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। হঠাৎ বিকট শব্দে চমকে ওঠেন তিনি। রেললাইনের দিকে তাকিয়ে দেখেন দুই ট্রেন দুর্ঘটনায় কবলিত। এতে আঁতকে ওঠেন তিনি।
Advertisement
জাগো নিউজকে কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভাত খেয়ে স্টেশনের কাছে দোকানে বসে চা পান করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে আঁতকে উঠি। তাকিয়ে দেখি ধোঁয়ার কুণ্ডলি। দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি দুই ট্রেনের সংঘর্ষে মানুষের আহাজারি। রেললাইনের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কিছু নারী-পুরুষের মরদেহ। কিছুক্ষণ পর রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। আমি নিজেও লাশ ট্রেন থেকে বের করেছি। আমি এ দিনের কথা কোনোদিন ভুলতে পারবো না।’
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
Advertisement
এর আগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় উরসে এসে ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ৪
Advertisement
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকাগামী এগারসিন্দুর ট্রেনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মালবাহী ট্রেনটির তেমন ক্ষতি হয়নি। আমরা এখন উদ্ধারকারী ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটি সরানোর পর বোঝা যাবে ভেতরে আরও মরদেহ আছে কি না।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম