আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৫ মসজিদ ধ্বংস

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় আরও পাঁচটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। গাজার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

Advertisement

গত কয়েকদিনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া গাজা উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন বাস্তুহারা।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের এক রাতের অভিযানেই নিহত ৫৫: হামাস

গাজার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুর্কি এবং আরবি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গাজায় আরও পাঁচটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। ফলে সেখানে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত মসজিদ ধ্বংস হয়েছে মোট ৩১টি।

Advertisement

এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের এক রাতের অভিযানেই ৫৫ জন নিহত হয়েছে। হামাসের প্রেস অফিস জানিয়েছে, গাজায় ৩০টির বেশি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, গাজায় অভিযান আরও বাড়ানো হবে।

বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এক রাতেই ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডবিউএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৩

এক বিবৃতিতে ইউএনআরডবিউএ আরও জানিয়েছে যে, এক ইসরায়েলি সেনাও নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

Advertisement

এদিকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিনে হামাসের একটি সেল লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ওই হামলায় অন্তত দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে।

টিটিএন