জাতীয়

কুমারী পূজায় উৎসবে মাতলো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

চলছে মহাষ্টমীর পূজা-আর্চনা। বর্ণিল আয়োজন আর উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা।

Advertisement

ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে বেলা ১১টায় পূজা শুরু হয়। এরপর শেষ হয় দুপুর ১২টায়। এবার কুমারী হিসেবে ৫ বছর বয়সী একজনকে নেওয়া হয়েছে। কুমারীর নাম সুভগা।

আজ রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল ৬ টায় মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে মহাষ্টমীর পূজা। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। ১১টায় শুরু হয় কুমারী পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এসময় কুমারীকে সামনে রেখে মহারাজরা চন্ডিপাঠ, মন্ত্রপাঠ করেন। মণ্ডপের সামনে থাকা হাজারো দুর্গাভক্ত কুমারী মাকে আরাধনায় উলু ধ্বনি দেন। ঢাকের ধ্বনি, শঙ্খের ধ্বনিতে মুখর ছিল মন্দির প্রাঙ্গণ। পূজা শেষে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় প্রসাদ বিতরণ।

Advertisement

এর আগে কুমারী পূজা দেখতে সকাল থেকেই রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে ভিড় জমান হাজারো পূণ্যার্থী।

আরও পড়ুন> চলছে কুমারী পূজা

রাজধানীর লক্ষীবাজার থেকে পূজো দিতে যান কল্পনা সেন। তিনি বলেন, কুমারী পূজা সব মন্দিরে হয় না। পূরান ঢাকায় রামকৃষ্ণ মঠেই হয়। তাই এখানে বাচ্চাদের নিয়ে পূজা দেখতে এসেছি। কুমারী মায়ের জন্য অঞ্জলি দিয়েছি।

মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন নটরডেম কলেজের ছাত্র দুর্জয় দাশ, শুভাশীষ চক্রবর্তী, পিয়াস দেবনাথ। তারা জাগো নিউকে বলেন, আমরা মিশনের হোস্টেলে থাকি। দুর্গাপূজার সময় বিশেষ অনুষ্ঠানে আমাদের দায়িত্ব থাকে। আজকে সকাল থেকে মহারাজদের সাহায্য ও ভক্তদের সহযোগিতায় আমরা কাজ করছি।

Advertisement

রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী মহারাজ দেবধানন্দ্য বলেন, নারীদের সন্মার্থে মূলত এই পূজা করা হয়। এক থেকে ১৬ বছর বয়সী যে কোনো কুমারী মেয়েকে পূজার জন্য নির্বাচন করা হয়। বয়সের ক্রমানুসারে পূজার সময় কুমারীদের বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।

১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা করা হয়। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়।

আরএ/এসএনআর/জেআইএম