ধর্ম

সুস্থতা ও অবসরের মূল্যায়ন করুন

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, দুটি নেয়ামতের মূল্যায়ন না করে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়; একটি সুস্থতা অপরটি অবসর। (সহিহ বুখারি: ৬০৪৯)

Advertisement

এ হাদিস থেকে যে শিক্ষাগুলো আমরা পাই

১. সুস্থতা ও অবসরকে মূল্যায়ন না করে অর্থাৎ এ দুটি নেয়ামত পেয়েও এগুলোর সদ্ব্যাবহার না করে, নিজেদের সুস্থতা ও অবসরের সময় হেলায় নষ্ট করে বহু মানুষ ক্ষতির শিকার হয়। সময় জীবনের মহামূল্যবান সম্পদ; আল্লাহ যদি অবসর দেন, সুস্থতা দেন, তাহলে এই সুযোগ অবশ্যই দীনি বা দুনিয়াবি কোনো কল্যাণকর কাজে লাগানো উচিত।

২. আমাদের দুনিয়ার জীবন খুবই সংক্ষীপ্ত। এ সময়ের মধ্যে যতো বেশি সম্ভব নেক আমল করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভ করার চেষ্টা করা মুমিনের কর্তব্য। কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সময়ের হিসাব দিতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মানুষ সামনে এগোতে পারবে না; ১. তার জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে, সে তা কী কাজে ব্যয় করেছে? ২. তার যৌবন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে, সে তা কী কাজে ক্ষয় করেছে? ৩. তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে, সে তা কীভাবে অর্জন করেছে? ৪. এবং কীভাবে ব্যয় করেছে? এবং ৫. যে জ্ঞান সে অর্জন করেছিল, সে অনুযায়ী কী আমল সে করেছে? (সুনানে তিরমিজি)

Advertisement

৩. ইমাম আবুল ওয়াফা আলি ইবনে আকিল (রহ.) বলেন, আমি আমার এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করা বৈধ মনে করি না। যখন আমার জবান আলোচনা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়, চোখও অধ্যয়ন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন বিশ্রামের সময়টুকুও আমি কাজে লাগাই পরবর্তী কাজের পরিকল্পনা ও চিন্তা ভাবনা করে।(শাযারাতুয-যাহাব)

আমাদেরও উচিত এভাবে সময়ের মূল্যায়ন করা ও সময় কাজে লাগানো। সময় মূলত এই পৃথিবীতে আমাদের জীবন; সময় নষ্ট করলে জীবন নষ্ট করা হয়।

ওএফএফ/জেআইএম

Advertisement