দেশজুড়ে

সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত, তিনদিন পর মরদেহ ফেরত দিল ভারত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আক্কাস আলীর (৩৫) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। ঘটনার তিনদিন পর শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। এসময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে তেঁতুলিয়ার ইসলামপুর সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৬ এর ৪ নম্বর সাব পিলার এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলি করে বিএসএফ। পরদিন বুধবার সকালে ভারতীয় সীমান্তের ওপারে আক্কাস আলী মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ ভারতের অভ্যন্তরে আক্কাস আলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কথা জানায় এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরতের আশ্বাস দেয়।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ ও ভারতের ফাঁসি দেওয়া থানা পুলিশ আক্কাস আলীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। নিহত আক্কাস আলী তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ধামনাগছ গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর বিএসএফ ময়নাতদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশের কাছে দেয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Advertisement

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বাংলাবান্ধা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ফাঁসি দেওয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশে আর কোনো ময়নাতদন্তের বিষয় নেই।

সফিকুল আলম/এমআরআর/জেআইএম