দেশজুড়ে

দাদা-ফুফুর কাছেই দিন কাটছে শিশু হোসাইনের

জন্মের পর শিশু তার বাবা-মায়ের কাছে বেড়ে ওঠে। কিন্তু বাবা-মা বেঁচে নেই সেটি জানে না সাত মাস বয়সী হোসাইন মোহাম্মদ। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-মা ও বোনকে হারিয়ে ফুফু নাসরিন আক্তারের কাছে দিন কাটছে তার। শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন অনেকেই। তবে শিশু হোসাইনকে নিজেদের কাছে রেখেই বড় করতে চান দাদা ও ফুফু।

Advertisement

শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঝালকাঠি পৌরশহরের টিএন্ডটি রোডে ভাড়া বাসায় গিয়ে কথা হয় হোসাইনের দাদা নাসির হাওলাদার ও ফুফু নাসরিন আক্তারের সঙ্গে। তখন তারা নিজেদের কাছে রেখে লালন-পালন করার কথা জানান।

আরও পড়ুন: চারপাশে কেবল বাবা মা ও বোনকেই খুঁজে ফিরছে ৭ মাসের শিশু হোসাইন

২১ সেপ্টেম্বর মিরপুরে কমার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকায় রাতে বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। তারা হলেন- মো. মিজান হাওলাদার (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫) ও মেয়ে লিমা আক্তার (৭)।

Advertisement

এ সময় সাত মাস বয়সী হোসাইনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ অনিক (২০) নামের আরেক তরুণের মৃত্যু হয়।

ফুফু নাসরিন আক্তার বলেন, এ বয়সে তার বাবা মায়ের বুকে থাকার কথা। কিন্তু আল্লাহ তাকে এতিম করে দিয়েছেন। এখন আমিই ওর বাবা আমিই ওর মা। ওর বাবার ইচ্ছে ছিল ওকে মাদরাসায় পড়ানোর। একটু বড় হলেই আমার কাছেই রেখে যেত। ওরে আমি মাদরাসায় পড়াবো। আমি ওর বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।

আরও পড়ুন: অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে পরপারে অনিক

দাদা নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারছি না। ওর পেছনে খরচ চালাতে কষ্ট হলেও আমি আমার বুকের মানিককে কাছেই রাখবো। আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মারা যাওয়া মিজান মেজ। চার বছর হলো সে ঢাকা থাকতো। শরবত বেচে সংসার চালাইতো। আমার কোল খালি করে সব শেষ করে দিলো যারা তাদের বিচারের দাবি জানাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

Advertisement

এসজে/এএসএম