গাজায় খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। হামাসের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়।
Advertisement
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মিশর সফরের সময় রাফা ক্রসিং খুলে দিয়ে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গাজায় প্রথমবার মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে ইরান
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু সূত্র বলছে, ২০টি ট্রাকে করে প্রথম দফায় প্রধানত চিকিৎসা সামগ্রী এবং সামান্য খাদ্য সরবরাহ করা হতে পারে। তবে পানি ও জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
Advertisement
হামাসের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ত্রাণবাহী যে বহরের প্রবেশের কথা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ২০ ট্রাক ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী এবং সীমিত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী (টিনজাত পণ্য)।
ইসরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাফা ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এরই অংশ হিসেবে এবার ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ ৬০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য পাঠাচ্ছে ইরান।
রাফা সীমান্ত খোলার পরই এই সহায়তা গাজার বাসিন্দাদের কাছে পাঠানো হবে বলে তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুক্রবার তেহরানের বিমানবন্দরে এসব মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কৌলিভান্দ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের বিস্তার ঘটলে পরিণতি হবে ভয়াবহ: সৌদি যুবরাজ
Advertisement
তিনি জানিয়েছেন, ইরান গাজা সীমান্তের কাছে মিশরে তিনটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের জন্যও প্রস্তুত। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া সাগরপথে গাজায় পণ্য সরবরাহ করতেও ইরান প্রস্তুত। গাজা উপকূলে জাহাজের মাধ্যমে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।
টিটিএন