বাংলাদেশের বিপক্ষে ১ রানের সেই জয়ই এখন ভারতকে শিরোপা স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সেই জয়ের পর সেমির সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখা ভারত মোহালিতে অন্যতম ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চলে গেলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। বিদায় করে দিলো অস্ট্রেলিয়াকে।মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার করা ১৬০ রানের জবাব দিতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ধোনি-কোহলিরা। কোহলির ব্যাটেই মূলত পরাজয় বরণ করতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। নাথান কাউল্টার নেইলকে আনা হলো আক্রমণে। তাকে চারবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন কোহলি। এলো ১৬ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ৪।শেষ ওভারের প্রথম বলে জেমস ফকনারকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে জয়সূচক চারটি রান এনে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৫১ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকলেন কোহলি। ১০ বলে ১৮ রান করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনো ভারতের কাছে যে অস্ট্রেলিয়া এখনো নস্যি, সেটা বোঝা গেলো এই ম্যাচেই। মূলত এক বিরাট কোহলির কাছেই বারবার নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে। অসিদের মাটিতে গিয়ে তাদেরকেই যে ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে আসলো, সেটা সম্ভব হয়েছে শুধুু কোহলির ব্যাটের কল্যাণেই। সেই কোহলি আজও, অস্ট্রেলিয়ার হন্তারক।অথচ স্টিভেন স্মিথকে অধিনায়ক বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া চেয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আক্ষেপটা ঘুচিয়ে দিতে। কিন্তু, সেই কোহলির সামনেই পরাজয়ের সুধা পান করতে হলো তাদের।জয়ের জন্য ১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারতকে কিন্তু বেশ চাপেই রেখেছিল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। রোহিত শর্মাকে ১২, ধাওয়ানকে ১৩, রায়নাকে ১০ রানে ফিরিয়ে দিয়েছিল তারা। যুবরাজকে নিয়ে কোহলি ঘুরে দাঁড়ান এবং ঘুরে দাঁড়ায় ভারতও। ১৮ বলে ২১ রান করে যুবরাজ আউট হয়ে গেলেও বাকি কাজটা সেরে নেন মহেন্দ্র সিং ধোনিই।অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২ উইকেট নেন ওয়াটসন, একটি করে উইকেট নেন নাথান কাউল্টার নেইল এবং জেমস ফকনার।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যারোন ফিঞ্চ সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। ৩১ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২৬ রান করেন উসমান খাজা।আইএইচএস/বিএ
Advertisement