অর্থপাচারে জড়িত সন্দেহে ২০০ পাসপোর্টধারীকে খুঁজছে ঢাকা কাস্টমস। তাদের ধরতে এরই মধ্যে বিশেষায়িত দল গঠন করা হয়েছে। এই দলের সদস্যরা চার ভাগে পালাক্রমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি করবেন।
Advertisement
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আমদানি-রপ্তানিতে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে দেশের অর্থপাচার হচ্ছে বিদেশে। টাকা পাচারের ঘটনা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে। এমন বাস্তবতায় অর্থপাচারকারী ধরতে কঠোর হয়েছে এনবিআর।
আরও পড়ুন>> পায়ুপথে ৩ কেজি সোনা এনে বিমানবন্দরে ধরা
Advertisement
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে অর্থ, সোনা ও মাদক পাচারের বড় রুট হিসেবে ধরা হয়। দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর দিয়ে চোরাচালান ও অর্থপাচার ঠেকাতে সম্প্রতি ঢাকা কাস্টম হাউস জারি করা এক আদেশে বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের যাত্রীসেবা প্রদান, রাজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে ঢাকা কাস্টম হাউস নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এসব কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ওই ২০০ পাসপোর্টধারী বিদেশ থেকে আগমনকালে শুল্ক ফাঁকি, নিষিদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত পণ্য পরিবহণসহ চোরাচালানের দায়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযুক্ত হয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত মামলাসমূহ বিচারাধীন।
এতে আরও বলা হয়, ওইসব পাসপোর্টধারী যাত্রীর মাধ্যমে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা পরিবহন ও পাচারের ঝুঁকি রয়েছে। এমতাবস্থায় ওই যাত্রীদের বিদেশ ভ্রমণকালে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি ওইসব যাত্রী গত এক বছরে কোন কোন দেশে কতবার ভ্রমণ করেছেন, তা জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হলো। সরকারি রাজস্ব সুরক্ষা, বৈদেশিক মুদ্রা পাচার ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধকল্পে বিষয়টি অতীব জরুরি।
এসএম/ইএ
Advertisement