ফিচার

বিড়ালের জনপ্রিয় ৪ জাত

পোষ্য প্রাণিগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হচ্ছে বিড়াল। শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের সব দেশেই এই শান্ত এবং আদুরে প্রাণিটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্তন্যপায়ী ও বন্ধুসুলভ প্রাণি বিড়াল রুপে-গুণে অন্যসব পোষা প্রাণী থেকেও আলাদা। আর পৃথিবীর সুন্দর স্বরের একটি বিড়ালের মিউ মিউ ডাক।

Advertisement

বিড়াল ২০-১৪০ হার্জ শব্দ উৎপাদন করে যা শরীরের পেশি ও অস্থিসন্ধি প্রদাহ নিরাময়ে থেরাপির মতো কাজ করে। যারা ঘরে বিড়াল পোষেন তারা শারীরিকভাবে অন্যদের তুলনায় বেশ সুস্থ থাকেন। বিড়াল পুষলে মানসিকচাপ কম থাকে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়।

ইঁদুরের উৎপাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি মাছের কাঁটা, ঝুটা খাবার খেয়ে পরিবেশকেও রাখে সুন্দর। এছাড়া বিড়াল প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-ভূমিকম্পের আভাস পায়। চলুন জেনে নেই বিশ্বের জনপ্রিয় ৪টি বিড়ালের জাত সম্পর্কে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় যেসব স্থান

Advertisement

পারস্য বিড়ালবিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিড়ালের একটি পারস্য বা পার্সিয়ান বিড়াল। পার্সিয়ান বিড়ালরা ঘুমাতে খুব পছন্দ করে। ২৪ ঘণ্টার ভেতর ১৮ ঘণ্টাই এরা অনায়সে ঘুমাতে পারে। পার্সিয়ানদের ১০০ টিরও অধিক প্রজাতি রয়েছে। তবে তাদের চওড়া মুখ, চ্যাপ্টা নাক এবং বড় চোখ তাদের শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও গায়ের লোম অনেক সিল্কি এবং এরা খুব মিশুক। তবে পারস্য বিড়াল বেশি সময় ধরে একা থাকতে পছন্দ করে না।

তুর্কি আঙ্গোরাতুর্কি অ্যাঙ্গোরা বিড়াল প্রাচীনতম এবং প্রাকৃতিক প্রজাতির বিড়াল। মধ্য তুরস্কের আঙ্কারা অঞ্চলে এই বিড়াল প্রথম জন্মেছিল। ১৭ শতকের প্রথম দিকে এদের নথিভুক্ত করা হয়। এই প্রজাতির বিড়ালের রং সাদা ও রংবেরঙের চোখ হয়। তবে এই বিড়ালের প্রজাতির সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রূপে গুণে বৈচিত্র্য এসেছে। এই বিড়াল থেকে সাধারণ ‘ম্যাও’ শুনতে পাওয়া বেশ বিরল। মুখ না খুলেই বিভিন্ন আকর্ষণীয় শব্দের মাধ্যমে মনের ভাব বোঝাতে পছন্দ করে এই প্রজাতির বিড়াল।

আরও পড়ুন: যে গ্রামে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই

ওসিকেটইংরেজি ওসিকেট থেকে আসা ওসিকেট হলো একটি বিখ্যাত স্বল্প কেশিক বিড়াল প্রজাতি। ক্রসের মাধ্যমে এই বিড়ালেরে জন্ম। ওসিকেট বিড়াল পেশীবহুল শক্তিশালী একটি প্রাণী। প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন ৩.৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত হয়। এই প্রাণীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তাদের দুর্দান্ত শেখার দক্ষতা।

Advertisement

ম্যাঙ্কসম্যাঙ্কস বিড়াল দেখতে গোলাকার। এদের সুন্দর মুখ, মোটা গাল ও পশমের পুরুত্ব দেখে সহজেই এদের শনাক্ত করা যায়। যদি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কথা বলি তাহলে বলতে হবে এই বিড়ালের লেজ নেই। এরা খেলতে ও সাঁতার কাটতে ভীষণ ভালোবাসে। শক্তিশালী ও পেশীবহুল পায়ের জন্য এরা সহজেই অনেক উচ্চতায় লাফ দিতে পারে।

কেএসকে/এমএস