হ্যাকিং থেকে বাঁচতে সচেতন ও সতর্ক থাকতে সবাইকে জোরালো পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
Advertisement
তিনি বলেন, যারা এখনো হ্যাকিংয়ের শিকার হননি, তারা কেউই এটা বলতে পারবেন না যে তিনি কখনো হ্যাকড হননি। কেউ না কেউ আপনাকে ইন্টারনেটে নজরদারিতে রেখেছেন। সাইবার দুর্বৃত্তদের এ নজরদারি রুখতে সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ‘বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দৈনন্দিন কাজে প্রতিনিয়ত আমাদের মেইল ব্যবহার করতে হয়। এমনকি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালাতে জি-মেইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মেইল চালালেও নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত। জি-মেইল ভারনাঅ্যাবল। যে কোনো সময় হ্যাকিং বা আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।
Advertisement
সাইবার স্পেসে কোনো সীমান্ত বা সীমানা নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নীতি, কাঠামো, আইন এবং একে-অপরের সহযোগিতা ছাড়া কোনো দেশ সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে পারে না। যৌথ সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। তাই এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ কামরুজ্জামান, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ প্রমুখ।
পুরস্কার পেলেন যারা
শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সেন্ট জোসেফ স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান। উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ভারতের ‘অ্যান্ড নাও ফাউন্ডেশন’, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ‘বাইট ক্যাপসুল’, সরকারি ক্যাটাগরিতে ‘বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক’ এবং ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)’।
Advertisement
এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য সাইবার জগত নিরাপদ রাখতে নিরলস কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে বিশেষ ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘পথচলা ফাউন্ডেশন’। সাইবার বুলিং রুখতে তিন হাজারের বেশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে পথচলা ফাউন্ডেশন।
আয়োজকরা জানান, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ছয়জনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এ পুরস্কারে ক্যাটাগরি বাড়ানো হতে পারে। বিজয়ীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার ডলার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। এ উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে ছিল ইউএনডিপি, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি।
এএএইচ/জেডএইচ/