প্রবাসী বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ নির্ধারিত ব্যক্তি বা সুবিধাভোগীর হিসাবে সময় মতো জমা করছে না কিছু ব্যাংক। এ কারণে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ তাদের পরিবার পেতে দেরি হচ্ছে। এখন থেকে দুই দিনের মধ্যে প্রবাসীর রেমিট্যান্স মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান কিংবা নির্ধারিত ব্যক্তির হিসাবে জমা করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রবাসী রেমিট্যান্সের অর্থ বেনিফিসিয়ারির নিকট বিতরণের নিয়ম সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে না। তাই নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমা দুই কার্যদিবসের মধ্যে রেমিট্যান্সের অর্থ যথাযথভাবে বেনিফিসিয়ারির নিকট বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যদিকে নানা পদক্ষেপেও ব্যাংকিং চ্যানেলে আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসছে না। চলতি অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) ৮ হাজার ৫৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর দৈনিক আসছে ৬ কোটি মার্কিন ডলার বা ৬৫৫ কোটির টাকার বেশি প্রবাসী আয়। এ ধারায় পুরো মাসে রেমিট্যান্স এলে অক্টোবরে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মাসে ২০০ কোটি বা ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আয়ের লক্ষ্য নিয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> রেমিট্যান্সে ধস, নেপথ্যে কারণ কী
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক টাকা সমান ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এটি গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। এর আগে গত ২০১৯ সালের মে মাসে ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার ডলার এসেছিল।
অন্যদিকে সংকটের মাঝে রেমিট্যান্স কমাকে ভালো চোখে দেখছেন না খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত দুই বছরে কাজের জন্য দেশের বাইরে গেছেন ২০ লাখ প্রবাসী কর্মী। দেশের বাইরে প্রবাসী বাড়ছে, অথচ রেমিট্যান্স কমছে দিন দিন। এর কারন খুঁজে সমাধানের দাবি তাদের।
ইএআর/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement