ধর্ম

কোরআন খতমের মানত অন্যদের দিয়ে পড়ালে পূরণ হবে?

শরিয়ত আবশ্যক করেনি এমন নফল কোনো আমল নিজের ওপর আবশ্যক করে নেওয়াকে ‘নজর’ বা মানত বলে। মানত শর্তযুক্ত ও শর্তমুক্ত হতে পারে। কেউ যদি বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের শর্তে কোনো আমল করার প্রতিজ্ঞা করে, তাহলে তা শর্তযুক্ত মানত। শর্ত ছাড়া কোনো আমল নিজের ওপর আবশ্যক করে নিলে তাও মানত হিসেবে গণ্য হয়।

Advertisement

মানত করলে তা পূর্ণ করা আবশ্যক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,

ثُمَّ لۡیَقۡضُوۡا تَفَثَهُمۡ وَ لۡیُوۡفُوۡا نُذُوۡرَهُمۡ وَ لۡیَطَّوَّفُوۡا بِالۡبَیۡتِ الۡعَتِیۡقِতারপর তারা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে। (সুরা হজ: ২৯)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের বর্ণনায় বলেছেন,

Advertisement

یُوۡفُوۡنَ بِالنَّذۡرِ وَ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا کَانَ شَرُّهٗ مُسۡتَطِیۡرًا তারা মানত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে যার অকল্যাণ হবে ব্যাপক। (সুরা দাহর: ৭)

মানত পূরণ করা ওয়াবিজ হওয়ার শর্ত হলো মানতকারীর প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া, নেক কাজের মানত করা, মানতকৃত কাজটি অসম্ভব না হওয়া, কোনো পাপের কারণ না হওয়া ইত্যাদি।

মানতের আমল নিজেরই করতে হয়। কেউ যদি কোনো উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার শর্তে বা শর্ত ছাড়া কোরআন খতম করার মানত করে, অথবা একটি বা কয়েকটি সুরা তিলাওয়াত করার মানত করে, তবে ওই তিলাওয়াত তার নিজের করতে হবে। অন্য কাউকে দিয়ে তিলাওয়াত করালে মানত পূর্ণ হবে না।

ইসলামে মানত জায়েজ হলেও অনুত্তম। নবিজি (সা.) মানত না করে নেক আমল করে ফেলতে উৎসাহ দিয়েছেন। অর্থাৎ ওই উদ্দেশ্যটি পূরণ হলে এত টাকা দান করবো -এ রকম মানত না করে উদ্দেশ্যটি পূরণ হওয়ার দোয়া করে ওই টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। একইভাবে উদ্দেশ্য পূরণ হলে ওই আমলটি করবো, এ রকম মানত করার পবিবর্তে আমলটি করে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দোয়া করা উত্তম।

Advertisement

ওএফএফ/জেআইএম