ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। বুধবার (১৮ অক্টোবর) কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স এ দাবি জানান।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজার ওই হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা চালায় ইসরায়েল। তাতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু মানুষ। এছাড়া আরও অনেকে হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ২৭ টন মানবিক সহায়তা পাঠাবে রাশিয়া
তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালিতে বক্তৃতাকালে প্রেসিডেন্ট হিগিন্স বলেন, দক্ষিণ গাজার ফিলিস্তিনিরা খাবার-পানির অভাবে ভুগছে। এর মধ্যেই গাজার আল-আহলি হাসপাতালে নৃশংস বোমা হামলাকে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করতে হবে। হামলাটি কীভাবে ঘটেছে, কারা দায়ী ও এর পরিণতি কী, তা সম্পর্কে একটি নির্ভরযোগ্য তদন্ত হওয়া জরুরি।
Advertisement
তবে ইসরায়েলে হামাসের হামলার কথা উল্লেখ করে হিগিন্স বলেন, আমি এখনো সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশ নেওয়া লোকদের ওপর আক্রমণের বিষয়ে বিদ্বেষ প্রকাশ করছি। তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাত সমাধানের জন্য আমাদের আগ্রহ রয়েছে। আমরা সবাই জানি, ফিলিস্তিনি জনগণের সবাই হামাস নয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ সহায়তার জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিচ্ছে মিশর
এর আগে গাজার ওই হাসপাতালে ভয়াবহ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দেয় রাশিয়া। এছাড়া রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ হাসপাতালে হামলার চূড়ান্ত দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের বলেও দাবি করেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ ওই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রাথমিকভাবে ওই হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে জানানো হয়, হামলায় কমপক্ষে ৪৭১ জন প্রাণ হারিয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতে অনেকে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরা
এসএএইচ