গাজায় ২৭ জন মানবিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সহায়তা হিসেবে বেশির ভাগই খাদ্য পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। গাজা উপত্যকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে একটি সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। এতে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে বলে জানা গেছে।
Advertisement
মিশর সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরই রাশিয়া মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা জানিয়েছে। মিশর-গাজার রাফা ক্রসিং থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর সিনাই পর্বতের আল আরিশ শহরের কাছে পন্যবাহী একটি বিমান অবতরণ করেছে। এরপর এসব পণ্য গাজায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ সহায়তার জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিচ্ছে মিশর
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফাহ টার্মিনাল ব্যবহার করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আহমেদ ফাহমি এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।
Advertisement
তবে তিনি কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেননি। রাফাহ ক্রসিং মিশরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্তপথ যেটি গাজার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটিই এখন বন্ধ আছে।
ফলে মিশরের এই সীমান্তপথটিই এখন গাজার অসহায় মানুষদের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই সীমান্তটি মিশর বন্ধ করে দেওয়ায় সেটা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুহারা ১০ লাখ মানুষ
Advertisement
ফলে রাফাহ সীমান্ত এখন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফাহ এখন গুরুত্বপূর্ণ। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে ইতোমধ্যেই একটি বিমান উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
টিটিএন