মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেন ওরফে বিহারী আনোয়ারকে (৭৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
Advertisement
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-২। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরে। তিনি মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানান র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আনোয়ার হোসেন ওরফে বিহারী আনোয়ারসহ রাজাকার বাহিনীর অন্য সদস্যরা অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। একাত্তরের ২৩ মে দিনগত রাতে আনোয়ার হোসেন ১৫-১৬ জন সশস্ত্র রাজাকার ও ৫-৬ জন পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানাধীন মৈশাকান্দা গ্রামের স্বাধীনতাকামী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের নির্যাতন করে এবং প্রায় ১০-১২টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
Advertisement
১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ফুলপুর থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী আনোয়ার হোসেনসহ ২০-২৫ জন সশস্ত্র রাজাকার ফুলপুর থানাধীন পূর্ব বাখাই ও পশ্চিম বাখাই এলাকার স্বাধীনতাকামী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর লুটপাট করে এবং ৯-১০ জন হিন্দু লোককে কংস নদীর শর্চাপুর ঘাটে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় ময়মনসিংহে আনোয়ার হোসেন ও অন্য রাজাকারদের বিরুদ্ধে অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ নানা মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে একটি মামলা দায়ের হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা রুজু হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেফতারের পর আসামি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র্যাব।
আরএসএম/এমকেআর/জিকেএস
Advertisement