দেশের কিংবদন্তিতুল্য ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণ দিবস আজ (১৮ অক্টোবর)। পাঁচ বছর হয়েছে তিনি আমাদের মাঝে নেই। তবে তার গান নিয়ে শ্রোতা-ভক্তদের আগ্রহ মোটেই কমেনি।
Advertisement
প্রয়াণ দিবসকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণ, গাওয়া গানগুলো তরুণ প্রজন্মের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ রক লিজেন্ডকে নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনে এবি কিচেন ও এশিয়াটিক ইএক্সপির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় পৌলমী গাঙ্গুলীর নতুন গান
এশিয়াটিক ইএক্সপির কার্যালয়ে এবি কিচেনের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী পরিচালক ফেরদৌস আইয়ুব চন্দনা। ইএক্সপির পক্ষে স্বাক্ষর করেন এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরেশ যাকের। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কো-চেয়ারপার্সন সারা যাকের।
Advertisement
আরও পড়ুন: কী হয়েছিল আইয়ুব বাচ্চুর
এ চুক্তির আওতায় এশিয়াটিক ইএক্সপি, প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী এবং সংগীত পরিচালক আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টি করা গানগুলোর নতুন আঙ্গিকে প্রচার এবং প্রসারের অনুমোদন পেয়েছে। নতুন শিল্পী দিয়ে নতুনভাবে গানগুলো তৈরি করা এবং আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টি করা গানগুলোর মাধ্যমে নতুন নতুন যন্ত্রশিল্পী খুঁজে বের করতে কাজ করবে এশিয়াটিক ইএক্সপি।
এছাড়া আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে কনসার্ট আয়োজন করা, এবি কিচেনের জন্য আর্থিক সুযোগ সৃষ্টি করা এবং আইয়ুব বাচ্চুর ব্যবহৃত গিটার এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে জাদুঘর তৈরি এই সমঝোতা চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এ চুক্তির ফলে আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্ট গান অথবা ‘এলআরবি’র কোনো গান প্রচার অথবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য এশিয়াটিক ইএক্সপি এবং এবি কিচেনের অনুমোদন নিতে হবে।
আরও পড়ুন: হাতে টাকা থাকলেই গিটার কিনত বাচ্চু : এন্ড্রু কিশোর
Advertisement
এ বিষয়ে ফেরদৌস আইয়ুব চন্দনা বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে একটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছি এবং আজ আমরা একটি সমঝোতায় এসেছি। এর ফলে বাচ্চুর কাজগুলাকে নিয়ে সামনে আরও সুন্দর কিছু কাজ আসবে। আশা করি এশিয়াটিক ইএক্সপির সাথে যৌথভাবে আমরা সামনে আরও বড় কিছু কাজ করব। এ বিষয়ে ইরেশ যাকের বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু আমাদের কাছে একজন কিংবদন্তি। তার রেখে যাওয়া সৃষ্টিকে আমরা চেষ্টা করব এগিয়ে নিয়ে যেতে, যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাকে জানতে পারে এবং তার সৃষ্টিগুলোর চর্চা করে।
এমআই/এমএমএফ/এমএস