আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজন হলে ভোটের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তবে এখন এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিভিন্ন সংগঠনের নিরাপত্তা শঙ্কায় এবং সংলাপে এ বিষয়টি উঠে আসার কারণেই বিষয়টি কমিশনে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
Advertisement
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে কমিশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোটের ১৫ দিন পর্যন্ত নিরাপত্তা রাখতে পারে ইসি। যেহেতু সুধীজনদের সঙ্গে সংলাপে ভোট পরবর্তী সহিংসতার বিষয়টি উঠে এসেছে এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে কমিশনকে অবহিত করছে, সেহেতু প্রয়োজন হলে কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ভোটের মাঠে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মূলত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকে। এছাড়া নির্বাচনের সময় ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে কাজ করে সশস্ত্র বাহিনী। পুলিশ ভোটের আগে দুই দিন ও পরে দুইদিন পর্যন্ত মোট চারদিন দায়িত্ব পালন করে। আনসার সদস্যরা ভোটের আগেপরে মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করেন মোট পাঁচদিন। অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও তিন থেকে চারদিন নির্বাচনী দায়িত্বে থাকেন।
আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সংসদের ৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্র হবে ৪২ হাজারের কিছু বেশি। গত নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে ছিল সশস্ত্রবাহিনী। আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। কারণ, গত নির্বাচনের চেয়ে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা আগামী নির্বাচনে বেশি থাকবে।
Advertisement
এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম