সাইবার অপরাধ, ব্ল্যাকমেইল ও বুলিং থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এবং এই অপরাধ প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়াচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
কেন্দ্রীয় কমিটিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিবকে সভাপতি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালককে (ডিজি) সদস্যসচিব করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী থাকবেন এ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে। পাশাপাশি কমিটির সদস্য করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশসহ ২৫ মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের প্রধানদের।
উপজেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সভাপতি ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের এ কমিটিতে ওসি, সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক নেতা, সাংবাদিকসহ ১৩ জন প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখতে হবে। দেশের সব উপজেলায় একই পদক্রম অনুযায়ী থাকবে কমিটি।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব (সংস্থা-৩) মো. আব্দুল আলীম তালুকদারের সই করা আলাদা দুই প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
কেন্দ্রীয় কমিটির কাজের পরিধিসারাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সাইবার অপরাধ থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জেলা সাইবার কমিটির কাজ পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ বাস্তবায়নে তৎপর থাকতে হবে।
জনসেচতনতা তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। সাইবার ট্রাইব্যুনালে চলমান কিশোর-কিশোরীর সংশ্লিষ্টতা থাকা মামলা পর্যালোচনা ও আইনি সহায়তা দিতে হবে। এছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর কমিটিকে নিয়মিত সভা করতে হবে।
উপজেলা কমিটির কাজের পরিধিস্কুল কলেজের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সাইবার সচেতনতা বাড়াতে সভা-সেমিনার ও কর্মশালা করতে হবে। সাইবার অপরাধ, বুলিং ও ব্ল্যাকমেইল প্রতিরোধে করতে হবে সচেতনতামূলক কাজ। ভুক্তভোগীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে হবে।
সাইবার অপরাধ, বুলিং, ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিশোর-কিশোরীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। উপজেলা কমিটিতে প্রতি মাসে অন্তত একটি সভা করতে হবে। সভার কার্যবিবরণী জেলা কমিটির মাধ্যমে পাঠাতে হবে কেন্দ্রে।
Advertisement
এএএইচ/কেএসআর/এএসএম