দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকা, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ও বিভিন্ন প্রকারের অতিগুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী মালামাল কমিশনে আনা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে মাঠপর্যায়ে এসব মালামাল পাঠানো শুরু হবে। এজন্য আঞ্চলিক, জেলা-উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি।
Advertisement
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা-অনিশ্চয়তা কাটেনি। উল্টো দিন দিন তা আরও জোরালো হচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে বিএনপি। সামনের দিনে এ আন্দোলন আরও কঠিন হবে বলে জানিয়েছে দলটি। কর্মসূচি সফল করতে রাজধানীতে ১০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন: ১০ লাখ লোক নিয়ে ঢাকা অবরোধের পরিকল্পনা বিএনপির
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে অটল। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, কোনো বার্তা বা আলটিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না। সরকার সংবিধান থেকে একচুলও নড়বে না।
Advertisement
ফলে দিন দিন উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখছে ইসি। যার চিত্র দেখা গেছে নির্বাচন কমিশন ভবনে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শেষ করেছে কমিশন। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের খসড়াও চূড়ান্ত হয়েছে। চলছে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। নির্বাচনী কেনাকাটার কাজও প্রায় শেষ। সব মালামাল ইসিতে আসতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: আমরা ঘরপোড়া গরুর মতো, অতীতের ভয় থেকে ইসিতে এসেছি
ইসির খসড়া তালিকা অনুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র হবে ৪২ হাজার ৩৮০টি। ভোটকক্ষ হবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি।
Advertisement
নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হয়। প্রতি কেন্দ্রে একটি করে দেওয়া হয় অতিরিক্ত ব্যালট বাক্স। সে হিসাবে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিন লাখের বেশি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হবে। কমিশনের কাছে এখন বেশ কিছু ব্যালট বাক্স আছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ৭৫-৮০ হাজারের মতো নতুন ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি: ইসি সচিব
ইসি জানায়, নির্বাচনী মালামাল ইসি সচিবালয়ের ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় থানা নির্বাচন অফিসে সংরক্ষণ করা হবে।
এদিকে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার জন্য বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বাংলাদেশে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, আমাদের দৃষ্টিতে, কমিশনের দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ আছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
এমওএস/জেডএইচ/জিকেএস