কৃষি ও প্রকৃতি

কৃষি বিপ্লবের স্বপ্নসারথীদের সাফল্যগাথা

মোতাহার হোসেন 

Advertisement

মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রু এবং কতিপয় বিদেশি অনুচর বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত হয়। ওই সময়ের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা দিয়েছিলেন। এখন তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত এবং সম্পদে উপচেপড়া দেশে পরিণত হয়েছে। এই বিস্ময়কর অর্জন সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের কারণে। গত ১৫ বছর টানা তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ অপবাদ ঘোচানোর পাশাপাশি বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। কৃষিতে বিস্ময়কর এ অর্জনের সার্থক হিরো হলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তার এ বিপ্লবের সঙ্গী ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিএডিসিসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহ।

প্রযুক্তির এ যুগেও কৃষি দেশের অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১১.২০% আর কৃষিতে নিয়োজিত জনশক্তি ৪৬.৯৬। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বিশেষ করে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন এবং বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ কৌশল প্রবর্তনের মাধ্যমে টেকসই কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসে কৃষিখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ কারণে মাত্র পাঁচ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। পরে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার দেশের কৃষির উন্নয়নে কার্যকর সংযোগ স্থাপন, ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ, কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ফসলের নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। ফলে কৃষি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়। আধুনিক এবং যান্ত্রিক কৃষিব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। উচ্চফলনশীল ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রবর্তনের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। কোভিড-১৯ অভিঘাত ও চলমান বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও কৃষি উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির ভিত্তিকে সুদৃঢ় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে যেখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। ২০০৮-০৯  অর্থবছরে চাল ৩১৩.১৭ টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪০১.৭৬ টন। একই সময় গম, ভুট্টা, আলু, ডাল, তেলবীজ, সবজির উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাট চাষে শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা

বিগত ১৫ বছরে ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৯ গুণ, আলু ২ গুণ, ডাল ৪ গুণ, তেলবীজ ২.৫ গুণ ও সবজি ৮ গুণ। ফলে বাংলাদেশের কৃষির সাফল্য বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। দেশের ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ধান উৎপাদনে ৩য়, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য় স্থানে রয়েছে। গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি এবং দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়। এ ১৫ বছরে বৈরি পরিবেশ সহনশীল জাতসহ মোট ৬৯৯টি উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন ও ৭০৮ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ সময় ধানের ৮০টি জাত উদ্ভাবন করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৬১টি জাত উদ্ভাবন করে। বিশেষ করে লবণাক্ত সহনীয় জাত ৯, জলমগ্নতা ও জলাবদ্ধতা এবং খরা সহনীয় ৩, জোয়ার-ভাটা সহনীয় ২, প্রিমিয়ার কোয়ালিটি ৭, জিংক সমৃদ্ধ ৭টি জাত রয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) বিগত ১৫ বছরে ১৯টি ধানের জাতসহ বিভিন্ন ফসলের মোট ৮৬ জাত উদ্ভাবন করেছে। বিনা উদ্ভাবিত ধানের জাত হচ্ছে- স্বল্প জীবনকালীন ধান, লবণ সহিষ্ণু বোরো ধানের ২টি, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের বিনাধান। এছাড়া বিনা গম ১টি, সরিষা, তিল, চিনাবাদাম ও সয়াবিন রয়েছে। মসুর, মুগ, ছোলা, মাসকলাই, খেসারি, টমেটোর বেশ কিছু জাত উদ্ভাবন করা হয়।  এ ১৫ বছরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০৯টি ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু ও হাইব্রিডসহ ৩৪৭টি জাত এবং ৪০৩টি ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

প্রসঙ্গত, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে আধুনিক টেকসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে ক্রমাগত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের লবণ সহিষ্ণু, বন্যাপ্রবণ এলাকায় বন্যা সহিষ্ণু এবং খরা প্রবণ এলাকার জন্য খরা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করা হয়। পাশাপাশি কৃষকের দোরগোড়ায় সার, বীজসহ অন্য উপকরণ পৌঁছাতে নেওয়া হয় যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একই সঙ্গে কয়েক দফায় সারের মূল্য কমিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ভর্তুকি মূল্যে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৭ টাকা দরে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

কৃষি বিপ্লবের অন্যতম উপকরণ হচ্ছে ভালো বীজ। এ জন্য মানসম্পন্ন ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পাট, সবজি, ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন করে কৃষকের হাতে তুলে দিতে ৩৪টি ভিত্তিবীজ বর্ধন খামার ৮৬টি কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন ও ৯৮ হাজার ৬৯৩ জন চুক্তিবদ্ধ কৃষকের মাধ্যমে বিগত ১৫ বছরে ২০ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন করে বিতরণ করে বিএডিসি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বীজ বিতরণের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন। বর্তমানে ১ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন। করোনার কারণে বীজের দাম ২৫% হ্রাস করা হয়। পাশাপাশি কৃষির উৎপাদন খরচ নিম্ন পর্যায়ে রাখতে সার, সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও আখ চাষে ভর্তুকি দেওয়া হয়। গত ১৫ বছরে সার, বিদ্যুৎ ও আখ উৎপাদনে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। ২০০৮-০৯ সালে এ খাতে ব্যয় ছিল ৫,১৭৮ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় হয় ২৫,৯৯৮.৫৬ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২১-২৩ পর্যন্ত সময়ে এডিপির আওতায় ২৪ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।  বিগত ১৫ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে গড় অগ্রগতির হার ৯৭.১৫%। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৪১৯.৯৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: যেভাবে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির উদ্যোক্তা হলেন তাহেরা রেজা

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কৃষিযন্ত্রের ক্রয়মূল্যের ওপর হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০%, অন্য এলাকায় ৫০% আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কম্বাইন হারভেস্টর, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, রিপার, সিডার ও পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজারটি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে কৃষিশ্রমিকের অপ্রতুলতা মোকাবিলা এবং উৎপাদন ব্যয় হ্রাস হয়েছে।

কৃষি জমিতে বিএডিসি ও বিএডিএ’র মাধ্যমে সেচের আওতায় আসে ১২.৫৯ লাখ হেক্টর। ১৪,৮৪৬ কিলোমিটার খাল পুনর্খনন এবং ৩০৫৬২ কিলোমিটার সেচনালা স্থাপন করা হয়। রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয় ১৫টি এবং সেচ অবকাঠামো ২৮৩২টি। দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভরাশঙ্খ খাল এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দুটি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। ড্যাম দুটি নির্মাণের ফলে অতিরিক্ত ২,০৫০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে।

প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলে সুবিধাবঞ্চিত বর্গাচাষিদের দোরগোড়ায় সময়মতো স্বল্পসুদে, জামানতবিহীন কৃষিঋণ সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ‘বর্গাচাষিদের জন্য কৃষিঋণ’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রতি বছর এ কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের ঋণ দেওয়া হয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৭.২৯ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭.৩৬ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন। বন্যা, খরা, শিলাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, উজানের ঢল, পাহাড়ি ঢলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিগত ১৪ বছরে ১ হাজার ৯৩৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ফলে ২ কোটি ২৩ লাখ ২১ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৪৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার প্রণোদনা ৬ লাখ ৪৩ হাজার কৃষককে প্রদান করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, পাট, সরিষা, সূর্যমুখী, আনারসসহ বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়।

কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্যের স্বপ্নসারথী দেশের কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণায় স্বীকৃতি দেয় কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি’তে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করেছে কানাডা সরকার। এ চেয়ার স্থাপনের মাধ্যমে দেশের কৃষি গবেষকদের কানাডায় উন্নত প্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরে ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে টুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র’ স্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন: ওষুধি গুণসম্পন্ন ধান চাষে চমকে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান

গত ১৫ বছরে দেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আবার করোনার অভিঘাত মোকাবিলায়ও কৃষিখাত অগ্রণি ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা জরুরি। একই সঙ্গে সরকারের ধারাবাহিকতা শেখ হাসিনার সরকারের ভিশন ২০৪১, এসডিজি, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি-২০১৮, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও ডেল্টাপ্লান ২১০০ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। এসব করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সাফল্যের নেপথ্যের স্বপ্নসারথীর মূল্যায়ন দরকার।

লেখক: উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক ভোরের আকাশ এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম।

এসইউ/জেআইএম