হিসাব পরিষ্কার। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ট্র্যাকে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। গত ১২ অক্টোবর মালদ্বীপের মাঠে ড্র হওয়া ম্যাচটি এখন মূল্যহীন। ওই ম্যাচ ভুলে যেতে চাইবেন দুই দলের কোচ-খেলোয়াড়রা।
Advertisement
কারণ, ঢাকায় যে ৯০ মিনিটের খেলা বাকি সেখানে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। এই সমীকরণ দুই দলের জন্যই সমান প্রযোজ্য। ম্যাচ ড্র হলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা। সমাধান না হলে টাইব্রেকার। তার মানে একটাই পথ-জয়।
গুরুত্বপূর্ণ এবং বাঁচা-মরার এই ম্যাচের আগে আজ (সোমবার) দুপুরে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচই জয়ের আশা ব্যক্ত করেছেন। ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েও গোল ধরে রাখতে পারেনি মালদ্বীপ। শেষ কয়েক মিনিট বাংলাদেশকে আটকিয়ে রাখতে পারলে আগামীকাল ড্র নিয়ে ফিরলেই হতো দ্বীপ দেশটির।
মালদ্বীপ ঘরের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি। বাংলাদেশ কি পারবে? সংবাদ সম্মেলনে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মাঠ অবশ্যই আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা। কিংসের মাঠ খুব ভালো। মালের চেয়ে অনেক ভালো কন্ডিশন আমাদের জন্য। যেটা শুধু আমাদের জন্য নয়, ম্যাচের জন্যও ইতিবাচক। এটা আমাদের অবশ্যই সহায়তা করবে। আশা করি, পুরো মাঠই দর্শকে ভরে যাবে।’
Advertisement
মালদ্বীপের মাটিতে প্রথমবারের মতো মালদ্বীপকে হারানো না গেলেও অনেক দিন পর ড্র হওয়াটাকেও ইতিবাচক দেখছেন কোচ, ‘মালেতে দুই দলের তুমুল লড়াইয়ের পর আমরা ঢাকা ফিরেছি কিছুটা আশাবাদী মন নিয়ে। অনেক দিন পর আমরা মালেতে ড্র করেছি, যে ড্র আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। এখন চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি, বিউটিফুল চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি। ঘরে খেলব, অনেক দর্শকের সামনে খেলব। আমরা উজ্জীবিত এবং সামনে তাকিয়ে আছি।’
মালদ্বীপের কোচ আলী সুজাইন বলেছেন, ‘মালেতে প্রায় সমানে সমান ম্যাচ হয়েছে। দুর্ভাগ্য, আমরা ৮৭ মিনিটে গোল করে ধরে রাখতে পারিনি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাঠে খেলা চাপ কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চাপ অনুভব করছি না; বরং আমি মনে করি ভালো মাঠ খেলা হবে। এটা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা; বাংলাদেশের জন্য নয়। এই মাঠ আমাদের মালের চেয়েও ভালো। তাই আমরা এখানে আরো ভালো খেলবো।’
আরআই/এমএমআর/এমএস
Advertisement