আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজার ৪ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

ইসরায়েলের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজার চারটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ওই অঞ্চলে ক্রমাগত হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এর মধ্যেই জ্বালানির অভাব এবং ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলার কারণে হাসপাতালগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

Advertisement

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বোমা হামলার পর গাজার উত্তরাঞ্চলের অন্তত চারটি হাসপাতাল তাদের কার্যক্রম আর চালাতে পারছে না।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলে সফরের কথা ভাবছেন বাইডেন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরও ২১টি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে, হাসপাতাল থেকে এভাবে লোকজনকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।

Advertisement

গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ জ্বালানি আছে তাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মতো সেবা দেওয়া যাবে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করে ইসরায়েল। সে সময় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট ঘোষণা দেন, গাজাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার পাশপাশি অঞ্চলটিতে খাদ্য বা জ্বালানি কোনো কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের পর থেকে সেখানে জেনারেটরই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কার্যালয় তাদের এক ওয়েবসাইটে সতর্ক করেছে।

এদিকে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের কারণে গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী স্বাস্থ্য ঝুঁকিয়ে রয়েছেন। তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবাও পাচ্ছেন না। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল (ইউএনএফপিএ) জানিয়েছে, গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা প্রাথমিক যেসব স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন সেগুলোর জন্য রীতিমত লড়াই করছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নারী আগামী মাসেই সন্তান প্রসব করবেন। তাদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন: গাজায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা, কী ঘটবে জানা নেই

Advertisement

ইউএনএফপিএর ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি ডোমিনিক অ্যালেন সিএনএন-কে বলেন, একবার কল্পনা করুন যে, সেই প্রক্রিয়াটির মধ্য দিয়ে যাওয়া বিশেষ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার আগের সময়গুলো, সম্ভাব্য জটিলতা, প্রয়োজনীয় পোশাক না থাকা, স্বাস্থ্যবিধির অভাব তাদের এবং তাদের অনাগত সন্তানের জন্য কেমন হবে?

এমনকি এসব নারী সন্তান জন্মদানের পর তাদের এবং নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলোও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। কারণ গাজার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

টিটিএন