গাজা উপত্যকার সীমান্তে শত শত ট্যাংক মোতায়েন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। জানা গেছে, গাজায় স্থল হামলা শুরুর প্রস্তুতি হিসেবেই ট্যাংকগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। শিগগিরই এ হামলা শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।
Advertisement
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছে তিন লাখ সংরক্ষিত সেনা।
আরও পড়ুন: গাজা ছাড়তে বাসিন্দাদের ৩ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলো ইসরায়েল
শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, জল-স্থল-আকাশ- তিন দিক দিয়েই হামলা চালাতে প্রস্তুত তারা। তবে এ হামলা ঠিক কখন শুরু হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
Advertisement
একই দিন রাতে ইসরায়েলি সেনাদের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) যেখানে হামাস হামলা চালিয়েছিল, সেখানেই ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তিনি। একটি ভিডিও ফুটেজে তাকে বুলেট প্রুফ পোশাকে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর হামলা, হতাহত ৪
সে সময় সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামনে যা হতে পারে তার জন্য কি আপনারা প্রস্তুত? এর উত্তরে সেনারা জানান, তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। হামাস নেতাদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, গাজা আগে যা ছিল সেই অবস্থায় আর কখনো ফিরবে না।
নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রতিটি হামাস সদস্য একজন মৃত ব্যক্তি। ইসরায়েল গাজার সম্ভাব্য অভিযানের নাম দিয়েছে দ্য অপারেশন সোর্ডস অব আয়রন। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার ইতিহাসে যত সামরিক পরিকল্পনা এর আগে হয়েছে, এটি হবে তার অনেক বেশি জোরালো অভিযান।
Advertisement
আরও পড়ুন: তিন দিক থেকে হামলার জন্য প্রস্তুত ইসরায়েলি সৈন্যরা
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের টানা আট দিনের হামলায় ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে শুধু শনিবারই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ৩০০ মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮০০ মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ