আন্তর্জাতিক

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক ‘খুবই ফলপ্রসূ’ হয়েছে: ব্লিঙ্কেন

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক ‘খুবই ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রোববার (১৫ অক্টোবর) রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, রোববার সৌদি আরবের রিয়াদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়েই এ বৈঠক হয়, যা প্রায় ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: আল জাজিরা বন্ধ করে দিতে চায় ইসরায়েল

এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন গাজায় চালানো ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেছেন। তবে এই সংঘাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাস ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত যেন বৃহৎ আকারে রুপ না নেয় সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। এছাড়া তিনি হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিতের জন্যও কাজ করছেন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) শুরু হওয়া হামাস- ইসরায়েল সংঘাতের পর থেকেই ইহুদী রাষ্ট্রকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে সহায়তায় রোববার দেশটিতে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সমর্থনে দ্বিতীয় রণতরী পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

এর আগে, সংঘাত শুরুর পরপরই গত সপ্তাহে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধজাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব যুদ্ধজাহাজ ইতোমধ্যেই ওই অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং এর সঙ্গে এবার নতুন করে আরেক মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ার ও এর অধিভুক্ত যুদ্ধজাহাজগুলো সেখানে যোগ দেবে।

Advertisement

এদিকে, মার্কিন লেখক ও রাজনৈতিক বিজ্ঞানী নরম্যান ফিঙ্কেলস্টাইনের মতে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ‘অত্যন্ত প্রবল’; বিশেষ করে, হিজবুল্লাহ যদি এই লড়াইয়ে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ

আরও পড়ুন: বাইডেনের সামনে ফিলিস্তিনপন্থির চিৎকার, ‘গাজাকে বাঁচতে দেন’

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানকে তিনি ‘আন্তর্জাতিক আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার’ সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ইসরায়েলের লক্ষ্য গাজার উত্তরাঞ্চলে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো ও সেটিকে ইসরায়েলের নতুন নিরাপত্তা অঞ্চল ঘোষণা করা।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ