শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনসাধারণকে মুক্ত রাখতে আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীকে শব্দহীন রাখার কর্মসূচি পালন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
Advertisement
তবে ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিটে হর্নের তীব্রতাও বেশি ছিল, সে সময় মিরপুর ১০ গোলচত্বরের চারটির মধ্যে দুটি সিগন্যালই ছাড়া ছিল। তবে ১০টা ২ থেকে, ১০টা ৪ মিনিট পর্যন্ত হর্নের তীব্রতা ছিল অনেক কম এবং সেই সময় পুরো চারটি সিগন্যালই ছিল বন্ধ।
আরও পড়ুন>> ‘এক মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচির মধ্যেও বাজলো হর্ন
হর্ন বন্ধ করতে ৯টা ৫৯ মিনিট থেকেই সড়কে নেমে বিভিন্ন গাড়ি ও বাস চালকদের অনুরোধ করেন কর্মসূচিতে আসা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে অনুরোধ উপেক্ষা করে তীব্র হর্ন বাজিয়ে গোলচত্বর ছাড়েন চালকরা। ১০টা ২ মিনিটে চারটি সিগন্যাল বন্ধ করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এসময় ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় নীরবতা টের পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন রাস্তায় সাইরেন বাজিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স এলে ট্রাফিক পুলিশ থামিয়ে দেয়। এরপর সাইরেন বন্ধ করে চলে যায় যানটি।
Advertisement
হর্ন বাজানোর নানা কারণ উল্লেখ করে চাকরিজীবী আব্দুল্লাহ আল আবির বলেন, দীর্ঘক্ষণ সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক চালক বিরক্ত হয়ে হর্ন বাজান। আবার সিগন্যাল ছাড়লে হর্ন বাজিয়ে দ্রুত চলে যেতে চান।
আরও পড়ুন>১ মিনিট নীরবতা পালনে মিরপুরে নানা কর্মসূচি
মোটরসাইকেল চালক আবির বলেন, পাড়া-মহল্লার ব্যাটারিচালিত রিকশা হঠাৎ যানের সামনে এসে পড়ে। রিকশাগুলো লাইন মেইনটেইন করে না তাই বাধ্য হয়েই হর্ন দেওয়া লাগে।
আরও পড়ুন>ঢাকাকে ১ মিনিট শব্দহীন রাখতে শাহবাগে প্রচারণা
Advertisement
এর আগে সকালে ৯টা ১৫ মিনিটে মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বর পুলিশ ট্রাফিক জোনে এই কর্মসূচি পালন শুরু হয়। এসময় সরকারি কর্মকর্তা ও স্কাউট সদস্যদের হাতে ছিল সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন। ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি নীরব মিনিট পালন করি’, ‘নো হর্ন, আপনার হর্ন আপনাকেও বধির করছে’ সম্বলিত লেখা ছিল ব্যানার ও ফেস্টুনগুলোতে। স্কাউট সদস্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন গাড়ি ও যানবাহনে সচেতনতামূলক লিফলেট দিতেও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার জুয়েল মৃধা জাগো নিউজকে বলেন, মানুষকে সচেতন করতে ও অযথা হর্ন না বাজাতে এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি পালন করছি। আমরা লিফলেট বিতরণ করেছি।
এসএম/এসএনআর/এএসএম