বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রতিবেশীর মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন ফিরোজ সরদার (২২) নামে এক যুবক। ফিরোজ উপজেলার কন্দুগ্রাম ইউপির কাথলা গ্রামের বাচ্চু সরদারের ছেলে।
Advertisement
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ওই যুবক নিজ শয়নঘরের আঁড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত ফিরোজ সরদারের চাচাতো ভাই হারুন-অর রশিদ জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের জন্য মসজিদে যান ফিরোজের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই বায়োজিদ হোসেন। নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার স্মার্টফোনটি চুরি হয়েছে। তারা চুরির ঘটনায় ফিরোজকে সন্দেহ করে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। এরপর ওইদিন রাত ১০টায় ফিরোজের বাড়ির উঠানে ফিরোজের পরিবার ও বায়োজিদের পরিবারসহ বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে একটি বৈঠক বসে। বৈঠকে ফিরোজের মা ফেরদৌসি বেগম তাকে (ফিরোজকে) সকলের সামনে চড় থাপ্পড় মেরে শাসন করেন। সেইসঙ্গে ওই বৈঠকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনটি ফিরোজকে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়।
এরপর রাতে জানালা দিয়ে ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ফিরোজ নিজ শয়নঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার মা সাকালের নাস্তা খেতে ডাকাডাকির একপর্যায়ে জানালা দিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
Advertisement
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তবে আত্মহত্যার মূল কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এফএ/জেআইএম