হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে লড়াই হলেও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম পর্বে (নকআউট) অ্যাওয়ে গোলের সুবিধাটা নেই। তাই মালদ্বীপে ইনজুরি সময়ে গোল করে হার এরালেও ঢাকায় জিততেই হবে। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা থাকলে ১৭ অক্টোবর ফিরতি ম্যাচে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেই চলতো বাংলাদেশের। এখন জয়ের বিকল্প নেই কোনো দলেরই।
Advertisement
১২ অক্টোবর মালদ্বীপের কাছে হারলে ঢাকায় জয়ের ব্যবধান তার চেয়ে বড় প্রয়োজন হতো। এখন জিতলেই হবে। বাংলাদেশ কি পারবে ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে?
২৩ ফুটবলার নিয়ে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন ক্যাবরেরা। ঢাকায় রেখে গিয়েছিলেন ৫ জন। ফিরতি ম্যাচে কোচ স্কোয়াডে পরিবর্তন আনবেন কিনা, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
বিশেষ করে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনকে দলে নেওয়া-না নেওয়া নিয়ে নানা ধরনের কথা হচ্ছে। মদকাণ্ডে মোরসালিনকে শুধুমাত্র আর্থিক দণ্ড দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। যার অর্থ তিনি এখন ম্যাচ খেলার জন্য উম্মুক্ত। কোচ চাইলে তাকে খেলাতে পারেন।
Advertisement
একটি পক্ষ মোরসালিনকে স্কোয়াডে নেওয়ার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যেও এ নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে। তবে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা নাকি মালদ্বীপ সফর করা স্কোয়াডেই খুশি।
তাছাড়া মোরসালিন অনেক দিন ধরে অনুশীলনে নেই। মদকাণ্ডে শাস্তি পাওয়ার পর মানসিক একটা ধকল গেছে তার ওপর দিয়ে। এমন একজনকে হুট করে দলে নেওয়াটা বুমেরাংও হতে পারে। যে কারণে, ক্যাবরেরা নিজের সিদ্ধান্তে এখনো অটল।
মালের মতো ঢাকার ম্যাচট্রি যদি ড্র হয়, তাহলে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত খেলা হবে। সেখানে কোনো ফলাফল না আসলে টাইব্রেকার। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই চাইবে ৯০ মিনিটে ম্যাচটি শেষ করে দিতে। মালদ্বীপের মাটিতে মালদ্বীপকে হারানো যায়নি। আগেও কখনো পারেনি বাংলাদেশ।
তবে গত জুনে ভারতের বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে জয়ের পর এবার তো ঘরের মাঠে খেলা। নিজেদের মাঠ, আবহাওয়া ও দর্শক-এর বাইরে আর কোনো অ্যাডভান্টেজ নেই বাংলাদেশের।
Advertisement
তাই মালে থেকে শেষ মূহূর্তের গোলে ড্র করে ফিরলেও কোনো স্বস্তি নেই, সুযোগ নেই চাপমুক্ত থাকারও। প্রয়োজন জয়। একটি জয় বাংলাদেশের সামনে খুলে দেবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি ম্যাচ খেলার দরজা। মালদ্বীপকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ পাবে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননকে।
আরআই/এমএমআর/এমএস