বিশেষ প্রতিবেদন

চাহিদা বাড়ছে হেলিকপ্টারের

দেশে ক্রমেই বাড়ছে হেলিকপ্টারের চাহিদা। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষ প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে যাতায়াত এখন অনেকটায় সহজ হয়ে উঠেছে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা বিদেশি ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য অনেক সময়ই দ্বারস্থ হচ্ছেন বেসরকারি হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। ফলে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস।পরে সবমিলে পাঁচটি কোম্পানি এই বাণিজ্যে সামিল হয়। এ খাতে সর্বশেষ সংযোজন ২০১৪ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করা ইমপ্রেস এভিয়েশন। হেলিকপ্টার বাণিজ্যে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস, স্কয়ার এয়ার লিমিটেড,  মেঘনা এভিয়েশন, আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশন, ইমপ্রেস এভিয়েশন, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস এবং বিআরবি এয়ার লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় বর্তমানে হেলিকপ্টার আছে ১৫টি। চার বছর আগে তাদের সম্বল ছিল মাত্র পাঁচটি হেলিকপ্টার। সূত্র জানায়, তিন বছর আগেও দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বাণিজ্যিকভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া দেওয়ার কাজ করত মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত তিন বছরে নতুন করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে হেলিকপ্টার ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছে।হেলিকপ্টার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের যেকোনো স্থানে  ভ্রমণের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। কোথাও যাত্রাবিরতি  করলে প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত গুনতে হয় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। সব খরচের সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য ভ্যাট যোগ করা হয়।সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানি তেল, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, পাইলটসহ কারিগরি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বেতনসহ মাসে একটি হেলিকপ্টারের পেছনে অন্তত ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। পাশাপাশি হেলিকপ্টার রাখার জন্যও অনেক বড় জায়গার প্রয়োজন হয়। প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই মূলতঃ হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে কাজ করেন। উচ্চ প্রশিক্ষিত হওয়ায় তাদের পারিশ্রমিকও বেশি।এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা মাকছুদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান,  হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার চাহিদা বাড়লেও সামগ্রিকভাবে এই ব্যবসা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না মালিক ও পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো। কেননা এখনো পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে মুনাফা করতে পারছেন না তাঁরা।  বড় অঙ্কের বিনিয়োগের কারণেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক হতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।  আরএম/এএইচ/এমএস

Advertisement